fbpx

স্কুল কলেজের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করেছেন বা করতেছেন!

high-school-building-images-stock-photos-vectors-shutterstock-regarding-high-school-building-clipart-600x280-e1567960425249

আপনি কি স্কুল বা কলেজ বা অন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করেছেন বা করতেছেন বা করতে চাচ্ছেন? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট বানাতে হলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে বানাতে হত যেগুলো সরকার হতে নির্ধারিত।মিলিয়ে নিন আপনার ডেভেলপার যাকে আপনি ওয়েবসাইট বানানোর দায়িত্ব দিয়েছেন,সে সরকারী বিধিমোতাবেক এই পয়েন্টগুলো পূরন করছে কি না।

সরকারী বিধি মোতাবেক স্কুল, কলেজ বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরীর নিয়মগুলো না মেনে ওয়েবসাইট করলে আপনাকে হয়ত এই ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে হতে পারে অথবা নিয়ম মেনে আবারো এই ওয়েবসাইট করতে হতে পারে, যা আপনার জন্য ডাবল খরচ।

যাইহোক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আপনাকে ওই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য ও কার্যক্রম নিম্নবর্নিত ফিচার সম্বলিত ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরী ও .edu.bd ডোমেইন নিবন্ধন পুর্বক হোস্টিং কোম্পানীতে হোস্ট করতে হবে.

 

সরকারীবিধি মোতাবেক ফিচার সমুহঃ

১) ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও শিক্ষকগণ নির্ধারিত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দেখতে পারবেন। বাহিরের কোন ব্যবহারকারী যাতে কোন অবস্থাতেই এই তথ্যগুলো না দেখতে পারে।

২) প্রতিদিন ক্লাস শুরুর প্রথম ঘণ্টার মধ্যে শ্রেণি অনুসারে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির সংখ্যা ওয়েবসাইটে আপডেট করতে হবে। এছাড়া কতজন শিক্ষক উপস্থিতি বা অনুপস্থিত সেটিও আপডেট করতে হবে।

৩) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্মন্ধে তথ্য, কনটেন্ট, প্রতিষ্ঠানের ভূমির তফসিল এবং তার সাথে ভূমির মালিকানা তথ্য, যদি ভূমিটি দানকৃত হয় সেটির উল্লেখ,  প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং কক্ষ সংখ্যা, শিক্ষার্থীর জন্য এভেইলেবল আসন, যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধা যা প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে থাকে এসব তথ্য থাকবে।

এছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও কম্পিউটার ল্যাব সম্পর্কিত তথ্য, কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ সুবিধা এবং অন্যান্য সু্যোগ সুবিধা যেগুলো সরকার শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে দিয়ে থাকে সেগুলো সম্পর্কে তথ্য, পরিচ্ছন্নতা, শরীরচর্চা স্যানিটেশন নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, প্রতিষ্ঠানটিতে পঠিত বিষয় ও সিলেবাস, বিগত ৩ বছরের প্রতিষ্ঠানেটির পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলসমূহ, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির তথ্য ইত্যাদি থাকতে হবে।

এছাড়া এমন কোন তথ্য যা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহন করে সেগুলো ওয়েবসাইটে থাকতে হবে।

৪) প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সেখানকার ক্লাস রুটিন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার যা বাৎসরিক ছুটির তালিকা সহ প্রনীত, অভ্যান্তরীন যেসব পরীক্ষা হয় সেগুলোর ফলাফল, টি.সি, প্রসংসাপত্র ইত্যাদি গ্রহণের নিয়ম, , জরুরী যেকোন নোটিশ, শিক্ষার্থী সম্পর্কিত সকল প্রকার রিপোর্ট, প্রতিষ্ঠানের প্রাত্যহিক কালেকশন, অথা একাউন্টস ও সকল প্রকার হিসাব ব্যবস্থাপনা,  Electronic Instruction Manual, e-book  English for today এর Listening text,ইত্যাদি থাকবে। এছাড়া নতুন নতুন সেবা অন্তরভুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকা উচিত।

৫) ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত হালনাগাদ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযত কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ম্যানপাওয়ার না থাকলে তখন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থাৎ বাইরের কাউকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে কাজ চালাতে হবে। তবে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত হালনাগাদ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার  বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট আকর্ষনীয় ও ব্যবহারিক করার জন্য করনীয়ঃ

হোমপেজ স্ক্রলিং নিউজটিকার ও স্লাইডার সহ সম্পুর্ন ডায়নামিক ও ফুল ফিচার্ড সাইট করতে হবে বানানোর সময়। এতে করে হবে কি পরবর্তিতে যিনি ওয়েবসাইট ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন তিনি সাইটের কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সহজেই যেকোন প্রকার পরিবর্ধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন, ও হালনাগাদ করতে পারবেন।

বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে মোবাইল ও স্মার্টডিভাইসের ব্যবহারে অনেক বেশি আধিক্য দেখা যায়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কে সম্পুর্ন রেসপন্সিভ করে তৈরি করতে হবে যাতে করে যেকোন মাপের (স্ক্রিন রেজুলেশন) ডিভাইসের জন্য সেটি উপযোগী হয়। এতে করে যেকেউ যেকোন ডিভাইস দিয়ে সহজে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটটি দেখতে পারবে।

অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যেকোন তথ্য জানানোর প্রয়োজন হয়। যেমন ধরুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি চলছে, এমন কার্যক্রম শুরুর একটি ডেট দেওয়া আছে। দেখা গেল কোন কারণে ছুটির মধ্যে কোন কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে ডাকা প্রয়োজন, কিভাবে করবেন সেটি?

এই সমস্যা সমাধানের একটি পন্থা হল মোবাইলে এসএমএস করে জানানো, যেটি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা সম্ভব। এজন্য এপ্রকার এসএমএস নোটিফিকেশন প্রদানের জন্য আপনাকে মেকানিজম সেট করে নিতে হবে ওয়েবসাইট বানানোর সময়। এই মেকানিজম থেকে আপনি এসএমএস ক্রেডিট ক্রয় করার মাধ্যমে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে (এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দেখা যাবে, মোবাইল নাম্বারের বদলে)। এভাবে আপনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে বেতন, অভিভাবক সম্মেলন, ছুটির নোটিশসহ যে কোন প্রকার নোটিফিকেশন সেন্ড করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য যেমন শিক্ষক ও কর্মচারীদের তথ্য, প্রতিষ্ঠান পরিচিতি, প্রধান শিক্ষকের বানী, ছুটির ক্যালেন্ডার, পাবলিক ও অভ্যন্তরীন পরিক্ষার ফলাফল ও তথ্য, শ্রেনী রুটিন ইত্যাদির জন্য উপরের মেনুবারে ড্রপডাউন মেনু সহ আলাদা আলাদা পেজ করে নিতে হবে যাতে করে তথ্য খুজে পাওয়া সহজ হয়।

ওয়েবসাইটের সাইডবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপুর্ন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে মোট ভিজিটর ও বর্তমানে অনলাইন ভিজিটর দেখার জন্য সাইডবারে যেকোন যায়গায় ভিজিটর কাউন্টার টুল এড করা যেতে পারে। এতে করে দেখা যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে কি পরিমাণ ভিজিটর আসছে।

ওয়েবসাইট তিন কলামে করা হলে সেটি অনেক বেশি ফাংশনাল হয় – দুইটি সাইডবার ও মাঝে একটি কলাম সহ মোট তিনটি কলাম। মাঝখানের কলামে প্রধান কন্টেন্টগুলি এবং সাইডবারে বিভিন্ন এদিশনাল তথ্য দিয়ে সাজানো থাকবে। তবে প্রতিষ্ঠানের ধরন, প্রয়োজন ও চাহিদার ভিত্তিতে সাইটের লে-আউট পরিবর্তন করা যেতে পারে।

ওয়েবসাইটের বিভিন্নপেজের সাইডবারে অথবা ফুটারে  নোটিশ, ক্লাশ রুটিন সহ প্রয়োজনীয় ফর্ম সমুহ পিডিএফ আকারে ডাউনলোডের ব্যাবস্থা থাকলে ভাল হয়। ওয়েবসাইটের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে যিনি থাকবেন তার কাজ হবে এই রুটিন বা ফর্মগুলো নিয়মিত এবং প্রয়োজনমত আপডেট করা।

শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম ওয়েবসাইটে রাখতে হবে। এখানে থেকে ফরমটি ডাউনলোড করে বিভিন্ন তথ্য পুরন করে শিক্ষার্থীরা জমা দিতে পারবেন।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ডাটাবেস মেইন্টেইন করার জন্য স্কুল ম্যানেজমেন্ট অনলাইন সফটওয়্যার ওয়েবসাইটে সেটাপ করা থাকলে ভাল হয়। এটা থাকলে তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্রেডেনশিয়াল দিয়ে নিজেদের একাউন্টে লগইন করে তাদের সকল ধরনের হালনাগাদ দেখতে ও রিপোর্ট ডাউনলোড করতে পারবে।

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কি .COM ডোমেইন নিলে হবে?

না, এটি রিকমেন্ডেড নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সবসময় উচিত .edu ডোমেইন নেওয়া। আরো ভাল হবে .edu.bd ডোমেইন নিতে পারলে। তবে কথা হচ্ছে এই ডোমেইন যে কেউ চাইলেই নিতে পারে নাহ। যেকোন ডোমেইন প্রভাইডারের ওয়েবসাইটে যেয়ে অন্যান্য ডোমেইন গুলার মত এটি কিনতে চাইলে সেটি সম্ভব নয়।

এই ডোমেইন পেতে গেলে আপনাকে কিছু ফর্মালিটিস এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সরকারি কিছু নিয়ম কানুন আছে এই ডোমেইন পাওয়ার জন্য। আপনাকে কিছু নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিয়ে পার্মিশন নেওয়া পূর্বক আপনি এই ডোমেইন কিনতে পারবেন।

.edu.bd ডোমেইন কিনতে গেলে যেসব তথ্য ও কাগজ জমা দিতে হবে তার নমুনাঃ

* প্রতিষ্ঠানের (কলেজ/স্কুল) প্যাডে আবেদন পত্র।

* প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের স্কান কপি।

*বিটিসিএল এর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা .bd ডোমেইনের আবেদন ফর্ম যেটাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীল ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।

* প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের ন্যাশনাল আইডির স্ক্যান কপি।

*বিটিসিএল এর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা .bd ডোমেইনের এগ্রিমেন্ট ফর্ম যেটাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীল ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।

এই সমস্ত কাগজপত্র থাকা সাপেক্ষে আপনাকে BTCL এ আবেদন করতে হবে এবং যথাযত নিয়মের মধ্য দিয়ে যাবার পর আপনাকে .edu.bd ডোমেইন দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার অনুমতি প্রদান করা হবে।

 

আর হ্যা, .edu.bd ডোমেইন একবারে ২ বছরের জন্য রেজিঃ করতে হয়, এবং এর জন্য খরচ পড়ে ২৫০০ টাকার মত। অন্যান্য ডোমেইন যেখানে প্রতিবছর রিনিউ করতে হয়, .edu.bd ডোমেইনের ক্ষেত্রে তা প্রতি দুই বছর পর পর রিনিউ করতে হবে।

আশা করি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট খোলার নিয়মকানুন সম্পর্কে আপনাদের অবগত করতে পেরেছি। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

আপনি যদি  .edu.bd বা .bd রেজিস্ট্রেশান করতে চান তাহলে আপনি host bangla .bd domain registration পেজ  থেকে রেজিস্টার করতে পারেন।

Share on facebook
Facebook
Share on google
Google+
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *