আমরা সাধারণত নিশ সাইটের জন্য যখন কীওয়ার্ড রিসার্চ করি, তখন প্রধান উদ্দেশ্য থাকে সম্ভাবনাময় মানি কীওয়ার্ড খুজে বের করা। পাশাপাশি অনেকেই হয়তো কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করে কিছু ইনফরমেটিভ বায়িং গাইড, টিপস ইত্যাদির জন্যও কীওয়ার্ড খুজে বের করে ফেলেন, কিন্তু সেইগুলো শুধুমাত্র একেবারেই ঠেকায় পড়ে করা।
বেশীরভাগ সময়েই আমাদের মানি কন্টেন্ট-ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট রেশিও থাকে ৮/২। কারণ আমাদের ধারণা যেহেতু এই ধরণের কন্টেন্ট থেকে সরাসরি সেইল আসবেনা, শুধুমাত্র ইন্টার্নাল লিংকিং বা গুগোল পেনাল্টি এভয়েড করার জন্য যতটূকু দরকার ততটুকু করলেই হবে।
আমি এই ধারণার সাথে সম্পূর্ন দ্বিমত পোষণ করি।
মানি কন্টেন্ট অবশ্যই অ্যাফিলিয়েশনের মূল উপজীব্য। কিন্তু সেই কন্টেন্টগুলো একেবারেই বায়িং ইন্টেনশলান রিডারদের টার্গেট করে লিখা। পুথিগতভাবে এদেরকে Wallet-out ট্রাফিক বলা হয়। এদের প্রায় সবাইই প্রোডাক্ট কেনার জন্য ৯০% রেডি।
শুধুমাত্র কোন প্রোডাক্টটি ভালো এটি জানার জন্য তারা আপনার সাইটে আসবেন এবং পছন্দমতোন একটা দেখে অর্ডার করে নেবেন। তাদেরকে কেনার জন্য নতুন করে ‘প্ররোচিত’ করার কিছুই নেই। আপনার একমাত্র কাজ তাকে ভালো কিছু প্রোডাক্টের দোষগুণ সম্পর্কে তাকে জানানো।
কিন্তু বাকি পটেনশিয়াল ট্রাফিকের একটি বড় অংশ আছে, যারা সরাসরি গুগোলে বায়িং কীওয়ার্ড সার্চ করেনা, কিন্তু চাইলে অল্পবিস্তর ট্রাস্ট ভ্যালু তৈরী করে এবং ইন্ডিরেক্টলি “প্ররোচিত” করে তাদেরকে কনভার্ট করানো সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার উদ্দেশ্য থাকবে তাদের কাছে প্রোডাক্টের দোষগুণকীর্তন করা নয়, বরং তার একটি বাস্তব সমস্যার কার্যকরী সমাধান করে দেয়া।
এবং নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যদি আপনার সমাধান তারা পছন্দ করেন, তাহলে ঐ সমাধান বাস্তবায়ন করতে আপনার রিকমেন্ড করা কিছু প্রোডাক্ট কিনতে তারা দ্বিধা করবেন না।
আর এই পুরো প্রক্রিয়াটার একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে- রিয়েল ভ্যালু এড করে এমন ইনফর্মেটিভ কন্টেন্ট।
যেটির পেছনে আইডিয়া এবং চেষ্টা, দুটিই আমাদের অনেকের মধ্যে অনেক কম বলে জানি। সেই কারণেই আজকের লিখা।
তো, এই আর্টিকেল আসলে কাদের জন্য?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার, ব্লগার বা যেকোণ ওয়েবমাস্টার যাদের পাবলিক ভ্যালু বেচে ইনকাম করতে হয়, তারাই এটার পাঠক। কিন্তু তারপরেও কিছুই ব্যাপার আছে। যেহেতু আর্টিকেলের বিষয় ইনফর্মেটীভ কন্টেন্ট রিসার্চ, সুতরাং একটা স্বাভাবিক প্রশ্ন চলে আসে প্রথমেই-
“ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট বিষয়ে আপনার সত্যিকারের মাথাব্যাথা কতটুকু?”
এর উত্তরে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বা ব্লগারদেরকে মোটা দাগে দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি-
টাইপ ১-
কমিউনিটির ৮০% এরও বেশী মার্কেটার এই ক্যাটাগরিতে পড়বেন বলে আমার ধারণা। এই ধরণের মার্কেটারদের প্রধান লক্ষ্য থাকে-
- বায়িং কীওয়ার্ড এর জন্য যতদ্রুত সম্ভব গুগোলে ১ নম্বরে উঠে আসা।
- আমাজন বা গুগোল যাতে পেনাল্টি না দেয় সেইজন্য সবরকম প্রস্তুতি রাখা।
- সর্বোপরি, হাজার ডলার/মাস ইনকামে পৌছে যাওয়ার পর ১৫-২০ গুণ দামে ফ্লিপাতে সাইট বেচে দেয়া।
- রিপিট(পরের সাইটের জন্য)।
টাইপ ২-
বাকি ১৫-২০%, যারা সত্যিকার অর্থেই মার্কেটার, তারা পড়বেন এই সেকেন্ড ক্যাটাগরীতে। সাইট বিল্ডীং এর পেছনে ইনাদের মোটিভ থাকে-
- সার্চ ইঞ্জিনকে খুশি রেখে, রিডারের জন্য সর্বোচ্চ পরিমান ভ্যালু এড করা।
- রিডারের জন্য সত্যিকার ভ্যালু এড করে তার পারপাস সার্ভ করে এমনভাবে সাইটের কন্টেন্ট, ডিজাইন, ন্যাভিগেশন তৈরী করা।
- টার্গেটেড ভিজিটর কমিউনিটিতে সাইটের সত্যিকার ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরী করা।
- সর্বোপরি সেই ব্র্যান্ড ভ্যালুকে কনভার্শনের মাধ্যমে সত্যিকার প্যাসিভ ইনকাম স্ট্রীম তৈরী করা।
এখন, এই দুই মার্কেটার টাইপ ভেদে ইনফর্মেটিভ কন্টেন্ট এর গুরূত্ব যথেষ্ট পরিমানে কমবেশী হবে। টাইপ ১ মার্কেটারদের জন্য এই ধরণের কন্টেন্ট মূলত গুগোল পেনাল্টি এভয়েড করা, বা সার্চ ভলিউম আছে এমন কিছু ইনফরমেটীভ কীওয়ার্ড র্যাংক করিয়ে কিছু বাড়তি সেল পাওয়ার উছিলা মাত্র।
বড়জোর মানি কন্টেন্ট এর ভেতরে ২-১ টা ইনফরমেটিভ পয়েন্ট, কিছু How to এবং বায়িং গাইড পোস্ট করার মধ্যেই এই চেষ্টা সীমাবদ্ধ।
আর টাইপ ২ মার্কেটার, যারা কার্যতই রিডারের সাইকোলোজি বুঝতে পারেন, তাদের কাছে প্রথম প্রায়োরিট থাকে তার পটেনশিয়াল ট্রাফিকের কাছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরী করা। যেকোন একটি বিষয়ে পর্যাপ্ত পরিমানে ইনফরমেটিভ রিসোর্স তৈরী করে তারা রিডারের কাছে ঐ নিশে নিজের একটি এক্সপার্ট ইমেইজ তৈরী করতে পারেন।
ঠিক আমাদের কাছে নেইল প্যাটেল বা ম্যাট কাট- এদের ইমেইজ যেরকম। নির্দিষ্ট পরিমান বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরী করার পর ফাইনালি যখন ইনারা কোণ প্রোডাক্ট রিকমেন্ড করেন, হটডগের মত সেই প্রোডাক্ট সেল হয়। কারন বায়াররা বিশ্বাস করেন, যেই লোক এই নিশ সম্পর্কে এতকিছু জানেন, তার রিকমেন্ডেশন ভুয়া হতে পারেনা।
যাই হোক, ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট নিয়ে এত ছাইপাশ আলোচনার গুরূত্ব কি, সেই বিতর্কে না গিয়ে আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি আমার এই আলোচনায় দুই ধরণের মার্কেটারদের জন্য দুইটি সেকশন রেখেছি। এর আগে, আরো কিছু আলোচনার পর আমরা মূল পর্বে ঢুকে যাবো-
নিশ সাইটের ইনফরমেটিভ কতধরণের হয়?
এই সেকশনটিকে দুইভাগে ভাগ করা হবে। প্রথমেই, টিপিক্যাল ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট টাইপস, যেটি আপনার সাইটের বেসিক চাহিদা(গুগোল পেনাল্টি, বায়িং গাইড, রিডারকে বেসিক রিসোর্স সার্ভ করা) পূরন করবে। আপনি কমবেশী সব নিশ সাইটেই এই ধরণের কন্টেন্ট দেখে থাকবেন-
ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট টাইপ্স- বেসিক লেভেল
Buyers Guide
সুপরিচিত কন্টেন্ট টাইপ। প্রায় প্রতিটা প্রোডাক্টের জন্যই আমরা মানি আর্টিকেলে দিয়ে থাকি। রিডারের এনগেইজমেন্ট বাড়ানো, প্রোডাক্ট শর্টলিস্ট তৈরী করতে সাহায্য করা, প্রোডাক্টের বিভিন্ন ফিচারের রকমফের নিয়ে আইডিয়া দেয়া, এবং রিডারকে কনভার্শনে উতসাহিত করা- এই সকল কাজ এই ধরণের কন্টেন্টের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে সাধারনত।
তবে যদি প্রোডাক্টের বায়িং গাইডের আলাদা সার্চ ভলিউম থাকে, তবে এটা নিয়ে আলাদা করে কন্টেন্ট দেয়া ভালো। এবং সেক্ষেত্রে যেহেতু এটি একটি আলাদা আর্টিকেল, কন্টেন্টের মাঝে মাঝে প্রোডাক্ট রিকমেন্ডেশন/মেনশন করে দিতে পারেন।
যেমন বায়িং গাইডের কোণ কোণ পর্যায়ে বললেন- “টেকসই প্রোডাক্টের জন্য তোমার অ্যালুমিনিয়ামের প্রলেপ দেয়া প্রোডাক্ট বাছাই করা উচিত” এর পর অ্যালুমিনিয়ামের প্রলেপ অংশটুকু আপনি ঐ ধরণের একটা প্রোডাক্ট রিভিউতে এঙ্কর করে দিলেন।
অথবা সরাসরি প্রোডাক্ট নেইম মেনশন করে দিলেন। এতে করে এক্সট্রিমলি টার্গেটেড অডিয়েন্সরা সরাসরি কনভার্শন এটেম্পট নিতে পারে।
উদাহরণ-
How-to Troubleshooting Guides
এই ধরণের আর্টিকেলে প্রোডাক্ট ব্যবহারকারীরা প্রোডাক্ট এবং প্রোডাক্টের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, কার্যকারণ ইত্যাদি সংক্রান্ত সমস্যা এবং তাদের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর নির্দিষ্ট কোন ফরম্যাট নেই, কিন্তু WikiHow এর সিস্টেমটা আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে। একই সমস্যার বিভিন্ন মেথডে সমাধান, প্রতিটি মেথডকে কতগুলো স্টেপে ভাগ করে দেয়া, আর প্রতিটি স্টেপের সাথে কিছু টিপস অ্যাড করে দেয়া, এটা ওদের স্টাইল। আর এর চাইতে বিস্তারিত How to গাইড লিখা সত্যিই দুস্কর।
উদাহরণ-
Typical Descriptional Articles
এটি মূলত Buying Guide বা How to এর বাইরে যেই আর্টিকেলগুলো প্রোডাক্টের ব্যাপারে না দিলেই নয় সেই ধরণের আর্টিকেল নির্দেশ করে। যেমন আপনি যদি মাইক্রোওয়েভ ওভেনের রিভিউ করেন, তাহলে কিছু ওভেন-ভিত্তিক রেসিপি, যদি ক্যামেরা রিভিউ করেন তাহলে কিছু ফটোগ্রাফিক টিপস ইত্যাদি।
যদিও সাধারনত এই ধরণের আর্টেকেলের কোণ বায়িং পারপাস থাকেনা বলে আমরা ভাবি, তাই এই ধরণের কন্টেন্ট দেয়ার আগ্রহ আমাদের তেমন থাকেনা। কিন্তু আপনি যদি রিডারের আপনার সাইটের প্রতি ভালো লাগা তৈরী করতে চান, তবে এই ধরণের কিছু কন্টেন্ট দিয়ে তাকে আপনার খুশি করতে হবে।
মনে রাখা প্রয়োজন, আপনার অধিকাংশ পাঠকই কিন্তু ‘রিভিউ দেখেই কিনে ফেলবো’- টাইপের উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার সাইটে আসেননা। কিন্তু ওয়েবে ঘুরতে ঘুরতে কিছুসময়ের জন্য আপনার পোস্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে যান। তার এই ছোট ‘মনোযোগ’-টাকেই আপনি চাইলে একটি সেলসে কনভার্ট করতে পারেন।
উদাহরণ-
- How Many Pillows Should You Sleep With? One, Two or?
- Is It Easier to Get Pregnant After Having a Baby?
ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট টাইপ্স- প্রো লেভেল
Statistics/Listings
এক্ষেত্রে প্রোডাক্টের সম্ভাব্য ব্যবহারকারী, অর্থার আপনার পটেনশিয়াল রিডাররা আকৃষ্ট হয় এমন কিছু তথ্য-উপাত্ত, ধারাবাহিক বর্ননা, লিস্টেড ডিসক্রিপশন ইত্যাদি। সহজে চেনার উপায় হল এই কন্টেন্টগুলোর বেশীরভাগেরই টাইটেল হয় সংখ্যাগত। যেমন-
10 Exercises to Get…….
6 Ways You Can……
আর্টিকেলগুলোর স্ট্রাকচার হয় একেবারেই সাদামাটা। কিন্তু তথ্যগুলো অনেক রিসার্চড, এবং সহজবোধ্য হওয়ায় রিডাররা সহজেই ভ্যালু খুজে নিতে পারে। আর সবচাইতে বড় কথা, অ্যামেরিকানদের কাছে সাধারণ বর্নণার চাইতে সংখ্যাগত লিস্টীং এর একটি গ্রহণযোগ্যতা আছে।
উদাহরণ-
- Top 10 Ways To Get Permission To Hunt
- 5 Of The Most Expensive Saltwater Fishing Tournaments In The World!
Cheat Sheet
এই ধরণের আর্টিকেল অনেক বেশী ইফেক্টিভ আর ট্রাস্ট বিল্ডার হয়ে থাকে।
Cheat Sheet এ মূলত এখানে How to টাইপ ইন্সট্রাকশনই আলোচনা করা হয়ে থাকে, তবে অনেক বেশী টার্গেটেড, প্র্যাক্টিকাল আর ইন্টার্যাক্টিং হয়। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট কোন কাজের চেকলিস্ট, টু-ডু চার্ট, লাইফ হ্যাকস, কুইক টিপস ইত্যাদি অনেক কিছুই এর মধ্যে পড়ে। আর সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হচ্ছে, এই কন্টেন্টগুলো এক্সট্রিমলি শেয়ারেবল কন্টেন্ট হয়। কাস্টমার স্টাডি করে লিখতে পারলে এইধরণের একটি কন্টেন্টই আপনার সাইটকে ভাইরাল করে দিতে পারে।
উদাহরণ-
- The 25 Greatest Kitchen Hacks Every Cook Should Know
- The ultimate pregnancy to-do list: Third trimester
Media Posts
কন্টেন্ট মানেই শুধুমাত্র আর্টিকেল নয়। অন্যান্য মিডিয়া-স্পেসিফিক পোস্টও হতে পারে আপনার সাইটের আকর্ষণের কেন্দ্র। অনেক সাইটে তো দেখি এই ধরণের পোস্টের জন্য মেনুবারে আলাদা ক্যাটাগরিও থাকে। আর এই ধরণের ইউনিক কন্টেন্ট নিয়ে পিন্টারেস্ট থেকে একটু চেষ্টা-চরিত্র করলেই নিস-স্পেসিফিক ট্রাফিক নিয়ে আসা যায়।
উদাহরণ-
Resource/Link Page
সোজা কথায় যেই ধরণের পেইজে/পোস্টে আপনি নিজের লিখা কণ্টেন্ট না পাবলিশ করে অন্যের ব্লগ/ব্লগার/পিন্টারেস্ট বোর্ড/রেডিট পোস্ট/ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি লিস্ট করেন তাদেরকেই রিসোর্স পেইজ বলে।
এই ধরণের সাধারণত আমরা দেশীয় মার্কেটাররা এড়িয়ে যাই। এমনিতেই কন্টেন্ট থেকে আউটবাউন্ড লিঙ্কিং এর চল খুব বেশী আমাদের মাঝে নেই। তার উপর আউটবাউন্ড লিঙ্ক ভর্তি আস্ত এক কন্টেন্ট? অসম্ভব!
কিন্তু বাইরের দেশে এটি খুবই প্রচলিত একটি ট্রেন্ড। আপনারা যদি ব্রোকেন লিং বিল্ডিং করে থাকেন কখনো, খেয়াল করবেন যে সাধারণত বিভিন্ন সাইটে ডেড লিঙ্ক পাওয়া যায়, তাদের সবগুলো ব্রোকেন লিঙ্কই আসে এই রিসোর্স পেইজ থেকে। একইরকমভাবে এক সময় আপনার রিসোর্স পেইজে থেকেও লোকে লিঙ্ক পেতে চাইবে। তাতে করে যদি দু-দশ ডলার কামিয়ে নেয়া যায়, ক্ষতি কি?
ইউজারকে পারপাস সার্ভ করার পাশাপাশি আপনার আরো কিছু বেনেফিট পেতে পারেন এসব কন্টেন্ট থেকে-
- কন্টেন্ট আসবে পুরোটাই অন্যদের কন্টেন্ট কিউরেট করে, ১০০% ফ্রীতে।
- ব্যাকলিংক বিক্রি করার জন্য আদর্শ পেইজ।
- ব্লগার/সাইটকে প্রমোট করে বিনিময়ে সেখান থেকে রিটার্ন ব্যাকলিংক পাবার সম্ভাবনা।
উদাহরণ-
E-Book
এফিলিয়েট সাইটের জন্য ই-বুক তৈরী করা অনেকের কাছে বাতুলতা মনে হতে পারে। তবে আগেই বলা হয়েছে, এই সেকশনের সবগুলো ইনফর্মেটীভ কন্টেন্ট টাইপ যারা লং-টার্ম অথরিটিতে বিশ্বাসী, তাদের জন্য। সেই দৃষ্টিকোন থেকে এটী মোটেই অপ্রয়োজনীয় কিছু নয়।
তবে ই-বুকগুলো সাইটের আর সব কন্টেন্টের মত করে লাইভ পাবলিশ করা থাকবেনা। এটি সেইসব রিডাররাই পাবে যারা আপনার সাবস্ক্রাইবার হতে চাইবে এবং তাদের ব্যক্তিগত ইমেইলটি আপনার হস্তগত করবে।
পরবর্তীতে আপনি তাদের সবাইকে রিওয়ার্ড হিসেবে একটি বড় (৫০০০-১০০০০ ওয়ার্ড) ই-বুক মেইল করে পাঠাতে পারেন।
শুধু নিশ্চিত করবেন যাতে ই-বুকটি তাদের সমস্যাকেন্দ্রিক এবং তথ্যবহুল একটি পাবলিকেশন হয়। ধরুন আপনি কিচেন নিসে কাজ করছেন, সেক্ষেত্রে কিচেন রক্ষণাবেক্ষণের কমপ্লিট গাইড, অথবা ১৫-২০ টি স্পেশাল ডিশ রেসিপি, ১০১ টি প্রয়োজনীয় কিচেন হ্যাকস- ইত্যাদি আপনার ই-বুকের টাইটেল হতে পারে।
সুন্দর ইলাস্ট্রেশন এবং তথ্যবহুল কন্টেন্ট থাকলে এমন একটি ই-বুকই আপনার ব্র্যান্ডিং এর অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
আপনার লাভ?
- টার্গেটেড ইউজারের ট্রাস্ট ভ্যালু অর্জন।
- আপনার নিশে আগ্রহী হাজারখানেক লোকের পার্সোণাল ইমেইল এড্রেস, যেগুলো পরে বহুবার করে বিক্রী করা যাবে।
- ফুল-স্কেল ইমেইল মার্কেটিং এর সুযোগ।
উদাহরণ-
আজকে এই পর্যন্তই থাক। পরের আর্টিকেলে দেখাবো কিভাবে আপনি একচুয়ালি আইডিয়া জেনারেট করতে পারেন। অপেক্ষায় থাকুন পরের পর্বের।